শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুছার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন ইসরাইল হামাসের বিশভাগ সক্ষমতা ও ধ্বংস করতে পারেনি শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক গনসচেতনামূলক মহড়া অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে অসহায় দুস্থ ও হতদরিদ্র নারী কর্মীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ ক্রেতা সাধারণ জিম্মি ব্যবসায়ীদের হাতে———– কপিলমুনিতে গলাকাটা দরে কেজিতে তরমুজ বিক্রয় বড়দলে উন্নয়ন প্রচেষ্টার উদ্যোগে সুরক্ষা সেবা প্রদান আশাশুনি তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির প্রার্থনা করে ইসতেসকার নামাজ আদায় আশাশুনিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজের রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন আশাশুনিতে বৃষ্টি জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায় পাটকেলঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৭ জুন, ২০২২

এফএনএস: পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যান চলাচল শুরু হয়েছে বহু প্রতিক্ষিত এ স্থাপনার ওপর দিয়ে। এর আগে পদ্মা সেতুর দুয়ার খুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সকালে পদ্মা সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল দিয়ে যানবাহনগুলো সুশৃঙ্খলভাবে সেতুর ওপর দিয়ে পদ্মা পার হচ্ছে। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুতে ৬০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জারি করা এ-সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব রক্ষার্থে ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুর ওপর অনুমোদিত গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার, পদ্মা সেতুর ওপর যেকোনও ধরনের যানবাহন দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা/হাঁটা সম্পূর্ণ নিষেধ। তিন চাকাবিশিষ্ট যানবাহন (রিকশা, ভ্যান, সিএনজি অটোরিকশা ইত্যাদি), হেঁটে, সাইকেল বা নন-মটোরাইজড গাড়ি যোগে সেতু পারাপার হওয়া যাবে না। গাড়ির বডির চেয়ে বেশি চওড়া এবং ৫.৭ মিটার উচ্চতার চেয়ে বেশি উচ্চতার মালামালসহ যানবাহন সেতুর ওপর দিয়ে পারাপার করা যাবে না। সেতুর ওপরে কোনও ধরনের ময়লা ফেলা যাবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। কিন্তু প্রথম দিনে সেই নিয়ম ভাঙতে দেখা গেছে অনেককেই। গতকাল রোববার ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এ সময় সেতুর দুই প্রান্তে ব্যক্তিগত গাড়ি, বাইক, ভাড়া করা গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। অনেকেই রাতেই চলে এসেছিলেন পদ্মার পাড়ে। রাতভর আড্ডা দিয়েছেন, স্বাদ নিয়েছেন রূপালি ইলিশের। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে পদ্মা সেতুর নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ নিয়েছেন অনেকেই। যানজটে কিছুটা বিড়ম্বনা হলেও অবিস্মরণীয় এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে উচ্ছ¡সিত সেতু দিয়ে পারাপারকারীরা। অনেকে হেঁটেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু পার হয়েছেন। আবার কেউ কেউ মাঝপথে গাড়ি কিংবা বাইক থামিয়ে তুলেছেন ছবি। অনেকেই ভিডিও কলে স্বজনদের সেতু দেখিয়েছেন। এ সময় র‌্যাবের কিছু সদস্য মাঝে মধ্যে এসে দর্শনার্থীদের সরিয়ে দিলেও উচ্ছ¡াস আর আবেগের কাছে তা ছিল অনেকটাই ক্ষীণ। তবে এই আবেগ সংবরণের কথা বলা হয়েছিল আগেই। কারণ অতিরিক্তি আবেগ কিংবা উচ্ছ¡াসের কারণে ঘটে যেতে পারে যেকোনও ধরনের দুর্ঘটনা। পদ্মা সেতু এলাকার নিরাপত্তার জন্য ইতোমধ্যে দুই পাশে দুটি থানা চালু হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের লৌহগঞ্জ উপজেলার মেদেনীমন্ডল ও কুমারভোগ ইউনিয়নকে একত্র করে ‘পদ্মা সেতু উত্তর থানা’ ও শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সীমানায় হয়েছে ‘পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা’। সেতু ও সেতু-ঘেঁষা এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ দুটি থানা গঠন করেছে সরকার। চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও পদ্মা সেতুসহ গোটা এলাকাটিকে কেপিআই (গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) ঘোষণার আলোচনা চলছে। পুরো সেতু ও আশপাশের এলাকায় রয়েছে সিসিটিভি। নিরাপত্তা তদারকিতে দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। সেতুতে হাঁটা-ছবি তোলা বারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি : পদ্মা সেতুতে হেঁটে ওঠা কিংবা গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলা বারণ থাকলেও প্রথম দিনে মানুষের উচ্ছ¡াসে ভেসে গিয়েছিল এসব বিধি-নিষেধ। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেতু কর্তৃপক্ষ রোববার গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই বিধি-নিষেধ স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে সেতুর উপর গাড়ি থামানো বন্ধে তৎপরও হয়েছে কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনকারী দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু শনিবার উদ্বোধনের পর রোববারই উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। খোলার পরপরই মানুষ হামলে পড়ে সেতুর উপর দিয়ে যেতে। হেঁটে কাউকে উঠতে না দিলেও মোটর বাইক কিংবা গাড়ি নিয়ে উঠে অনেকেই সেতুর উপর গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলায় মেতে ওঠে। অনেকে লাইভও করছিলেন। আবার বাস থামিয়েও নেমে পড়ে যাত্রীরা। এরপর বিকালে সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে বিধি-নিষেধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা জানান সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব এ এস এম রিয়াদ হাসান। তিনি বলেন, “ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে জনসাধারণের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া আছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “পদ্মা সেতু একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনা বিধায় সেতু পারাপারে সর্বসাধারণকে উপর্যুক্ত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। রিয়াদ হাসান বলেন, এই গণবিজ্ঞপ্তিটা আগে (উদ্বোধনের আগে) একবার দেওয়া হয়েছিল। আজকে আবার নতুন করে দেওয়া হল। ৮ ঘণ্টায় টোল আদায় ৮২ লাখ : পদ্মা সেতুতে প্রথম ৮ ঘণ্টায় ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। গতকাল রোববার ভোর ৬টা থেকে সাধারণ যানবাহনের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হয়। পরবর্তী আট ঘণ্টায় সেতুর জাজিরা প্রান্তে মোট ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৫০০ টাকা। মাওয়া প্রান্তে ৪৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা টোল আদায় হয়। একই সময়ে দুই প্রান্তে গাড়ি যাতায়াত করে ১৫ হাজার ২০০টি। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আট ঘণ্টায় দুই পাড়ে মোট ৮২ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ফেরিঘাট ফাঁকা : রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে যাত্রী-যানবাহনের চাপ কমেছে। সাধারণত এই নৌপথে ফেরি পারের জন্য দীর্ঘ সারিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন অপেক্ষা করে। কিন্তু গতকাল রোববার দেখা গেছে উল্টো চিত্র। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট ও মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, ঘাট এলাকায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় নেই। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে ফেরিগুলো। মহাসড়কে মাঝে মাঝে স্থানীর কিছু পরিবহন চলাচল করতে দেখা গেছে। দূরপাল­ার যাত্রীবাহী পরিবহন খুব একটা দেখা যায়নি। পণ্যবাহী ট্রাকও ছিল কম। ঘাটে কোনও যানবাহনের সারি না থাকায় সরাসরি ফেরিতে উঠে পদ্মা পার হচ্ছে যানবাহন। পুরো ফেরিঘাট ও মহাসড়ক এলাকায় কোনও যানজট নেই। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ৫ নম্বর ঘাট পন্টুন এলাকায় কথা হয় রিপন মিয়া নামে এক যুবকের সঙ্গে। তিনি কুষ্টিয়া থেকে আসা ঢাকাগামী একটি বাসের চালক। রিপন মিয়া বলেন, ‘শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। এ কারণে ঘাটে ও মহাসড়কে আজ (রোববার) যানবাহন ও যাত্রীদের কোনও চাপ নেই। পদ্মা সেতু চালুর আগ পর্যন্ত ফেরিঘাট ও মহাসড়কে ভোগান্তি পোহাতে হতো। আজ কোনও ঝামেলা ছাড়াই ঘাটে পৌঁছে। ঘাট ও মহাসড়ক পুরোটাই ফাঁকা।’ ৬ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনে কুমারখালী থেকে আসা ট্রাকচালক মানিক মিয়া বলেন, ‘আমি সকালে ধান বোঝাই করে ঘাটে এসে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পেরেছি। আমি জানতাম পদ্মা সেতু চালুর পর দৌলতদিয়া ঘাট ফাঁকা হয়ে যাবে। ট্রাকের সিরিয়ালে আর দিনের পর দিন থাকতে হবে না। এজন্য আমরা অধিকাংশ সময়ই নদী পারাপারে দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবহার করবো।’ ঢাকা উত্তরা থেকে আসা ফরিদপুরের মধুখালীগামী যাত্রী শোয়েব হাসান বলেন, ‘ভেবেছিলাম সকালে পদ্মা সেতু হয়ে বাড়ি যাবো। কিন্তু আবার ভাবলাম, অনেক ঘোরা হবে। এজন্য দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে বাড়ি যাচ্ছি। বাসে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত এসে লঞ্চে নদী পার হয়েছি। কোনও ঝামেলা হয়নি, সড়কও একদম ফাঁকা ছিল।’ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন জানান, পদ্মা সেতু চালুর আগের দিন পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট ও মহাসড়কে যানবাহনের চাপ ছিল। তবে আজ (রোববার) সকাল থেকে সেই চাপ একেবারে নেই। যেসব গাড়ি এখন ফেরিঘাট এলাকায় আসছে, তা সরাসরি নৌপথ পারাপারের সুযোগ পাচ্ছে। তিনি আরও জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টির মধ্যে ১৯টি ছোট-বড় ফেরি যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে। ঘাটে যানবাহন কম থাকায় দুটি ডাম্প (টানা) ফেরি বসিয়ে রাখা হয়েছে। অধিকাংশ চলমান ফেরিগুলো ঘাটে যানবাহনের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ছেড়ে যাচ্ছে। শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই : পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত দিয়ে বাস-ট্রাক আর নিজস্ব প্রাইভেটকারে অনেকেই পদ্মা পাড়ি দিয়েছেন গতকাল । এজন্য শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার গাড়ি ও যাত্রীদের চাপ নেই। গতকাল রোববার সকাল থেকে ঘাট এলাকা মোটামুটি ফাঁকা দেখা গেছে। অল্পকিছু যাত্রী লঞ্চে যাচ্ছেন শরীয়তপুরে। লঞ্চ ও স্পিডবোট যাত্রীর অপেক্ষায় আছে। শিমুলিয়া ঘাটে বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক শাহাদাত বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণে এখন শিমুলিয়া ঘাটের চিত্র অনেক পাল্টে গেছে। যাত্রীর সংখ্যা অনেক কম। গতকাল সকাল থেকে শিমুলিয়া- বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে ১১টি লঞ্চ এবং ১৫-১৬টি স্পিডবোট চলাচল করছে।’ বাংলাবাজার ঘাটে থাকা এমভি রোদেলা লঞ্চের চালক আলমগীর হোসেন জানান, সকাল থেকে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘাট থেকে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রী কমে গেছে অনেক। বেপারী লঞ্চের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর প্রভাবে ঘাটে যাত্রী কমে গেছে। মালিক সমিতির নির্দেশনা অনুযায়ী লঞ্চগুলো চলছে।’ বাংলাবাজার ঘাটে টার্মিনালে থাকা লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার খলিল মোল­া বলেন, ‘ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত চারটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ভাড়া আগের মতোই আছে।’ বাংলাবাজার স্পিড ঘাটের ইজারাদারের লোক রাসেল বলেন, ‘সরকার থেকে স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আমাদের রুট পারমিট ও সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেই অনুযায়ী যাত্রী পারাপার করছি।’ প্রসঙ্গত, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্থাপনা পদ্মা সেতু। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। দ্বিতল এই সেতুর এক অংশ পদ্মা নদীর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত এবং অপর অংশ নদীর শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যুক্ত। একইসঙ্গে ট্রেন ও গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে এ সেতুতে। চার লেনবিশিষ্ট ৭২ ফুট প্রস্থের এ সেতুর নিচতলায় রয়েছে রেল লাইন। এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূল সেতুর পাইলিং ও নদীশাসনের কাজ উদ্বোধন করেন। এরপর একে একে সব ধাপ পেরিয়ে পদ্মার বুকে ৪২টি পিলারের ওপর দৃশ্যমান হয়ে ওঠে স্বপ্নের সেতু। এ সেতু চালু হলে বাংলাদেশের জিডিপি ১ দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com