শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু মুছার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন ইসরাইল হামাসের বিশভাগ সক্ষমতা ও ধ্বংস করতে পারেনি শ্যামনগরে ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক গনসচেতনামূলক মহড়া অনুষ্ঠিত শ্যামনগরে অসহায় দুস্থ ও হতদরিদ্র নারী কর্মীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ ক্রেতা সাধারণ জিম্মি ব্যবসায়ীদের হাতে———– কপিলমুনিতে গলাকাটা দরে কেজিতে তরমুজ বিক্রয় বড়দলে উন্নয়ন প্রচেষ্টার উদ্যোগে সুরক্ষা সেবা প্রদান আশাশুনি তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির প্রার্থনা করে ইসতেসকার নামাজ আদায় আশাশুনিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজের রাস্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন আশাশুনিতে বৃষ্টি জন্য ইস্তেস্কার নামাজ আদায় পাটকেলঘাটায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

পরিবেশ অধিদপ্তরের কারণ দর্শানোর নোটিশ অমান্য \ কলারোয়ায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চুল­ী

দৃষ্টিপাত ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি \ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কারণ-দশর্অনোর নোটিশ অমান্য করে বিশেষ ভাবে তৈরি চুল­ীতে দৈনিক শতশত মণ কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কাজ চলিতেছে। উপজেলার সীমান্তবর্তী দক্ষিণ গয়ড়ার আইয়ুব হোসেন আনছারীর বাড়ীর ভিতরে এই চুল­ী স্থাপন করে এ এসব কয়লা তৈরী করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীমান্তগামী কলারোয়া-চান্দুড়িয়া সড়কের গয়ড়া মোড়ের উত্তর পাশে সাবেক মেম্বর আইয়ুবের ইটভাটা। বর্তমানে ওই স্থানটি ভাটার মোড় নামে পরিচিত। ভাটার মোড় থেকে উত্তরে গয়ড়া বাজারে যাওয়ার রাস্তা। ভাটার মোড় বা কলারোয়া-চান্দুড়িয়া সড়কের ১০০ গজ উত্তরে রামভদ্রপুর সড়কের পশ্চিম গায়ে আয়ুব মেম্বরের দ্বিতল ভবন। ওই ভবন কেন্দ্রীক বাউণ্ডারী ওয়ালের ভিতরে রাইচ মিলের ছদ্মাবরণে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির সাতটি চুল­ী স্থাপন করা হয়েছে। তবে চুল­ী ও ইটভাটার পাশে জনবসতি রয়েছে। চুল­ীর ধোয়ায় এলাকা সব সময় কুয়াশাচ্ছন্ন। পাশের গাছপালা বিবর্ণ হয়ে পড়ছে। ধোয়ায় রৌদ্র উজ্বল দুপুরে ক্যামেরার ছবি কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এলাকায় পরিবেশ দূষণ চরমে পৌছালেও প্রভাবশালী এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে র্কাও মুখ খোলার সাহস নেই। চুল­ীতে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক জানায়, নতুন নতুন সাহেব এসে বাণ্ডিল নিয়ে চলে যায়। আপনারা মালিকের কাছে যান। তারা সারা বছর এখানে কাজ করে রোজগার করতে পারে। এসব চুল­ীতে তাদের বা এলাকার বা পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় কি না- কর্মরত শ্রমিকরা তা জানে না। তাদের আয় রোজগার এটাই তারা বোঝে। তবে এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য চুল­ীর মালিককে পাওয়া যায় নি। চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন বলেন, ওই স্থানে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা পোড়ানো কারণে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এই চুল­ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দরকার বলে তিনি মনে করেন। এছাড়া কলারোয়ার হেলাতলায় ঢাকা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পশ্চিম পাশে হাওয়া ভাটা। হাওয়া ভাটার উত্তর পাশে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির আরো ৮ চুল­ী চালু রয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম কলারোয়ায় দুই স্থানে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া সত্বেও চুল­ী চালু রেখে দেদারছে কাঠ পুড়য়ে কয়রা তৈরী করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে লিখিত ভাবে ম্যাজিষ্ট্রেট চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলেই ভ্রাম্যমান আদালত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2013-2022 dainikdristipat.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com