আকাশ হতে ফেলানো খাদ্য সামগ্রীর চাপে পনের ফিলিস্তিনি হতাহত ॥ মধ্যগাজা ও উত্তরাঞ্চলে প্রতিরোধ যুদ্ধে হামাস ॥ গাজার সর্বত্র লাশের গন্ধ ॥ আবার জাহাজে হুতিদের হামলা ॥ রাশিয়া, চীন, ইরানের কঠোর হুশিয়ারী ॥ তুরস্কের খাদ্য ভর্তি জাহাজ সাগরে ॥ পালাচ্ছে ফিলিস্তিনি রোগী ও চিকিৎসকরা
দৃষ্টিপাত ডেস্ক ॥ রোজার আগেই হামাস ইসরাইল যুদ্ধ বিরতিতে পৌছাবে এমন সম্ভাবনার কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পক্ষগুলো বলে আসছিল কিন্তু রোজ অতি সন্নিকটে আর মাত্র এক দিন বাকি অথচ পরিস্থিতি বলছে যুদ্ধ বিরতি হচ্ছে না, দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় গণহত্যা অব্যাহত রাখবে। এমনিতেই কায়রো এবং কাতার উভয় স্থানে যুদ্ধ বিরতি আলোচনার সময় গুলোতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বিমান হামলা এবং গণহত্যা চলমানছিল। বর্তমান সময় গুলোতেও থেমে নেই হত্যাকান্ড এবং ফিলিস্তিনিদের গণগ্রেফতার। অবশ্য যুদ্ধ বিরতি নিয়ে কার্যকরে। গতকাল কাতার ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরা জানিয়েছে যুদ্ধ বিরতি আলোচনায় অংশ নেওয়া কায়রোর এক উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানিয়েছে যুদ্ধ বিরতির শেষ ধাপে তারা পৌছালেও কয়েকটি বিষয়ে ঐক্য মতে না পৌছানোয় আলোচনা পিছিয়ে গেছে। এদিকে মার্কিন যুক্তাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রোজার আগেই কার্যকর যুদ্ধবিরতির তির উপর জোর দিয়ে বলেছে রমজানের পূর্বেই পক্ষগুলোকে যুদ্ধ বিরতিতে আসতে হবে। উল্লেখ্য ইসরাইলের অতি মিত্রদেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তাষ্ট্রের রিচিত এবং অবস্থান গাজা যুদ্ধেও প্রমানীত বিধায় মার্কিন য্তুরাষ্ট্রের চাওয়া পাওয়া ইসরাইলের জন্য বধ্যতামূলক বিধায় বিশ্বের শত শত কোটি মানুষের বিশ্বাস একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছার প্রতি ইসরাইল সম্মান প্রদর্শনে বাধ্য। তবে মার্কিন প্রশাসনের সেই ইচ্ছাটা হতে হবে প্রকৃত। পরিস্থিতি বর্তমান সময়ে এমন যে ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় নিহত হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা অথচ যুদ্ধ বিরতির পক্ষে মার্কিনীরা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। এদিকে হামাসের পক্ষ হতে বলা হয়েছে তারা প্রকৃত পক্ষে ইসরাইল নয়,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ রত কারনমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র, গোলাবারুদ, সামরিক যান ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে ইসরাইল। দখলদার ইসরাইল গাজায় খাদ্য সরবরাহে সর্বাধিক বাঁধা প্রদানের নিয়মে এগিয়ে যাচ্ছে। একদিকে বোমামেরে হত্যা করা হচ্ছে অন্যদিকে খাদ্য সরবরাহ করতেনা দিয়ে তাদের কে অভূক্তরেখে মৃত্যুমুখে ধাবিত করছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে ইতিমধ্যে শতাধীক ফিলিস্তিনি খাদ্য খেতেনা পেয়ে মৃত্যুবরন করেছে। গাজার হামাসনিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ইতিমধ্যে শতাধীক অভূক্ত ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর লিপিবদ্ধ অর্থাৎ হাসপাতালে তাদের নাম তালিকা ভূক্ত হয়েছে এর বাইরেও অনেক ফিলিস্তিনি আছে যারা খেতে না পেয়ে মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছে। এদিকে গতকালও দখলদার ইসরইলি বাহিনী গাজার রাফা ও রামাল্লায় বিমান হামলা চালিয়েছে উত্তর দক্ষিন এলাকার বিভিন্ন আবাসিক ভানেও বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। সাম্প্রতিক সময় গুলোতে ইসরাইলি বাহিনী হত্যার পাশাপাশি গ্রেফতার অভিযান ও পরিচালনা করছে। হাসপাতাল গুলোর অধিকাংশ ধ্বংসস্তুপে পরিনত হলেও ধ্বসংসের মাঝে ও আহতরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসছিল কিন্তু দখলদার বাহিনী হাসপাতালে অভিযান ওগ্রেফতার আতঙ্কে আতওঅসুস্থ ফিলিস্তিনিরা হাসপাতাল ছাড়ছে। বর্বরতা আর নিষ্ঠুরতায় শেষ পর্যায়ে না পৌছালে আহত ফিলিস্তিনিরদের গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করতো না। গাজার চিকিৎসকদের মাঝে একধরনের অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। চিকিৎসকদেরকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। খান ইউনিসের অত্যাধুনিক হাসপাতাল থাকে গাজার প্রধান চিকিৎসালয় হিসেবে চিহিৃত করা হয় সেই আল আকসা হাসপাতালের বড় অংশ মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে দখলদার বাহিনী। গাজার অভূকতও দুর্ভিক্ষ পিড়িতফিলিস্তিনিদের খাদ্য সামগ্রী বিমান হতেফেলা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জর্দানের বিমান বাহিনীর সহায়তায় উক্ত খাদ্য সামগ্রীূ ফেলছে। জর্দান এবং ফ্রান্সও বিশেষ প্যারাসুটের আওতায় খাদ্য সাম গ্রী ফেলছে। আল জাজিরা জানান বিমান হতে ফেলানো খাদ্য সামগ্রীর চাপায় অন্তত পনের জন্য ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছে। সাংবাদ মধ্যম টি আরও জানায় তাৎক্ষনিক ভাবে পাঁচজনের মৃগ্যুর খবর পাওয়া গেছে। খাদ্য সামগ্রীর চাপায় আহত অন্যদেরকে গাজার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করছে। গাজায় পর্যাপ্ত ত্রান সাগর পথে প্রেরনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দর নির্মানের ঘোষনা দিয়েছে। গত কয়েক দিন যাবৎ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী গাজায় যে ভাবে হামলা পরিচালনা করছেতা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে ফিলিীস্তনি জনগোষ্ঠী নিশ্চিহৃ হবে এমনই আশঙ্কা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এদিকে লোহিত সাগরে আবারও জাহাজে হামলা চালিয়েছ হুতি যোদ্ধারা । সপ্তাহ পূর্বে মার্র্কিন মালবাহী জাহাজে হামলার পর উক্ত জাহাজটি ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ হতে ইয়েমেনে হামলার হামলার ঘোষনা দেওয়ার পর গতকাল ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পাল্টা হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেছে হুতিদের সক্ষমতা ও সামর্থ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হামলা চালাতে পারে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল কাসেম ব্রিগেড এর পক্ষহতে তাদেরমুখ পাত্র আবু ওবাইদা বলেছেন গত দুই দিন যাবৎ রাফা, উত্তরাঞ্চল ও গাজারমধ্য ঐলাকাতে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীূর সাথে আমাদের সহযোদ্ধারা প্রতিরোধ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। হামাসের পক্ষ হতে আরও অভিযোগ করে বলা হয়েছে দখল দার ইসরাইলি বাহিননির সদস্যরা ইসরাইলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের উপর নির্মম নির্যাতন পরিচালনা করছে। রাশিয়া, তুরস্কএবং চীনের পক্ষ হতে গাজায় অতি দ্রুত যুদ্ধ বিরতি নিশ্চিত করার আহবান জানানো হয়েছে। এদিকে তুরস্কের জাহাজ ভর্তি খাদ্য সামগ্রীর মিশরের পথে। ফিলিস্তিনিদের জন্য তুরস্ক খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখবে বলে ঘোষনা দিয়েছে। সর্বত্র ক্ষুধার যন্ত্রণায় ফিলিীস্তনিরা মৃত্যুমুেিখ পর্যাপ্ত খাবারই কেবল তাদের বাঁচিয়ে রাখতে পারে।